দুর্নীতির তালিকায় বাংলাদেশ ১৩ তম ২০০৯ সাল











দূর্নীতি তালিকায় ১৩ নম্বরে বাংলাদেশ













transparency international

আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী সংস্থা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বলছে দূর্নীতি নিয়ে উন্নত দেশগুলোর আত্মতৃপ্তির কোন অবকাশ নেই, কারন এসব দেশেও ব্যবসা খাতে ঘুষের লেনদেন চলে৻

বিশ্বের ১৮০টা দেশে দূনীতির ধারনাগত সূচকের ওপর বাৎসরিক রিপোর্টে ট্রান্সপারেন্সি উন্নয়ন সাহায্যের অর্থ ব্যয়ের প্রক্রিয়ার আর স্বচ্ছ করার পরমর্শ দিয়েছে৻


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দূর্নীতির ধারনাগত সূচকের তালিকায় চলতি বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৩ নম্বরে৻


গত বছর বাংলাদেশ এই তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল৻ এর আগে পর পর চারবার বাংলাদেশ এই তালিকার শীর্ষে ছিল৻


বাংলাদেশের দূর্নীতির ধারনার উন্নতি হলেও, সেদেশে এখনও ব্যাপক দূর্নীতি রয়েছে বলে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে৻


ঢাকা থেকে সংবাদদাতা শেখ সাবিহা আলম জানাচ্ছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছ সর্বসাম্প্রতিক এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা উল্লেখযোগ্য, বিশ্বের আর মাত্র আটটি দেশ এতটা উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।


প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ অংশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছিলেন যদিও এখনও বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি এবং মোট ১৮০টি দেশের মধ্যে এর অবস্থান ১৩৯ তম, তবু দক্ষিণ এশিয়ার সবকটি দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই দুর্নীতির প্রকোপ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।


টিআই এই প্রতিবেদনটিতে, ২০০৮ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কাল এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম নয় মাসের কাজের মূল্যায়ন করেছে।


২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ও কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের চেষ্টা, যেমন সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন, তথ্য অধিকার আইন পাস ইত্যাদি এই অগ্রগতির নিয়ামক বলে বিবেচিত হয়েছে।


এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি পারফর্মেন্স এ্যাসেসমেন্ট রেটিংস ২০০৮, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশনের বার্টেলসম্যান ট্রান্সফর্মেশন ইনডেক্স ২০০৯, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট পরিচালিত কান্ট্রি রিস্ক সার্ভিস এ্যান্ড কান্ট্রি ফোরকাস্ট ২০০৯, আইএচএস গ্লোবাল ইনসাইট-এর গ্লোবাল রিস্ক সার্ভিস ২০০৯, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি এ্যান্ড ইন্সটিটিউশনাল এ্যাসেসমেন্ট ২০০৮, এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর গ্লোবাল কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০০৮-২০০৯ এর জরিপের ভিত্তিতে এই ধারণাসূচকটি রচিত হয়েছে। তথ্যের মূল প্রতিপাদ্য দুর্নীতি ও ঘুষের আদান-প্রদান।


তবে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ, আশংকা প্রকাশ করে বলেছে, সম্প্রতি গণখাতে ক্রয় সংক্রান্ত নীতিমালার পরিবর্তন, তথ্য অধিকার কমিশন কার্যকর না হওয়া, সংসদে বিরোধী দলের অনুপস্থিতি ইত্যাদি কারণে দুর্নীতি দমনে বাংলাদেশের অবস্থান বাধাগ্রস্ত হতে পারে।


Comments

Popular posts from this blog

Ferry firms to meet officials over P&O fallout

Elon Musk's X sues Media Matters over antisemitism analysis

Just Stop Oil protests: Activists arrested over M25 services damage