কুমিরের হামলা থেকে ইমপালা হরিণের পলায়ন!
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার জাতীয় পার্কে এক দল তৃষ্ণার্ত ইমপালা হরিণ লাফ দিয়ে নদীর কিনারায় কুমিরের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাচ্ছে - আর সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করেছেন একজন সৌখিন ফটোগ্রাফার।
- দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার জাতীয় পার্কে এক দল তৃষ্ণার্ত ইমপালা হরিণ নদীর পানিতে লুকিয়ে থাকা একটি কুমির থেকে বাঁচতে লাফ দিয়ে সড়ে যাচ্ছে।
- দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক সৌখিন ফটোগ্রাফার জন মুলিন'য় এই অসাধারণ দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দী করেন ক্রুগার জাতীয় পার্কে।
- জন মুলিন'য় ব্যাখ্যা করলেন: "দীর্ঘমেয়াদী খরার ফলে নদীর পানি শুকিয়ে যায় - যার ফলে, শুধুমাত্র কিছু কিছু জায়গায় পানি জমা আছে যেখানে জীব-জন্তুরা পান করতে পারে, কিন্তু সেখানে কুমিরের সংখ্যাও প্রচুর।"
- "অনেক পশুর পাল পানি পান করতে এসেছিল - আর নদীর এক কিনারায় একটি বাচ্চা কুমির ছিল। কুমিরটি সাঁতরে চলে আসে, তার পা মাটিতে রেখে মাথা তীরের দিকে তাক করে নিজেকে স্থির করে নেয়।"
- "যখনই ইমপালা হরিণগুলো কাছে চলে আসে, তখনই কুমিরটি আক্রমণ করে। হয় কুমিরের দাঁতের কাছে চলে আসার সাহস কোন একটি ইমপালা দেখায়, না হয় সেখানে অনেকগুলো ইমপালা ভিড় করে এবং তাদের একটা অন্য একটা ইমপালাকে কুমিরের কাছে ঠেলে দেয়," ফটোগ্রাফার বলেন।
- "যখনই কোন ইমপালা কাছে চলে আসে, তখনই কুমিরটি পানি থেকে লাফ দিয়ে বেড়িয়ে আসে। আমি যত ঘণ্টা সেখানে বসে ছিলাম, তার মধ্যে পাঁচ বার হামলার চেষ্টা হয়, কিন্তু প্রত্যেকবারই ইমপালাগুলো পালিয়ে যায়"
- ধারণা করা হয়, বিগত দুই কোটি বছরে কুমিরের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। বৃহৎ আকারের এই সরীসৃপ সাধারণত আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং দুই আমেরিকার অল্প স্রোতের নদী এবং জলাভূমিতে জড়ো হয় - যেগুলো শিকারের ওপর অতর্কিত হামলা করার জন্য উত্তম জায়গা।
- শিকার এবং বাসস্থান হারানোর কারণে তেরটি প্রজাতির কুমিরের অনেকেই এখন বিলুপ্তির পথে এবং সংরক্ষিত। বড় প্রজাতির কুমির যেমন নীল এবং লবণাক্ত পানির প্রজাতিগুলোই মানুষের জন্য আসল হুমকি বহন করে। সব ছবি: John Mullineux/CATERS NEWS AGENCY
Comments
Post a Comment