ব্যাংক এর সুদের হারের ঊর্ধ্বগতি, থামাবে কে??



বিগত ছয় মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংক এর সুদের হার বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে সধারণ মানুষ। ছয় মাস আগেও যা ছিলো ৮% তা এখন বেড়ে হয়েছে ১২%। ছয় মাসের মাথায় ৫% সুদের হার বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং যা  দেশের জন্য ক্ষতিকর।



বাণিজ্যিক ব্যাংক এর কর্তা ব্যাক্তিরা সরকার কে সঞ্চয় এর সুদের হার ১১.৫% থেকে কম করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাস্তবতা  বিরোধী   এবং যা মানলে  ভবিষ্যতে  এই তারল্য সংকট কে আর প্রকপ করবে।
সঞ্চয় এর আয় না থাকলে মানুষ  সঞ্চয় বিমুখ হবে ।

 বাংলাদেশ এর জি ডি পির প্রবৃদ্ধি হার ৭.৬%, সরকারের ঋণ জি ডি পির ৩১.৯%, বৈদেশিক মুদ্রার  রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার, ঋণ সর্বমোট ২৮ বিলিয়ন ডলার, আপাতত দৃষ্টিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠিক থাকলেয় আমদানি রপ্তানি থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার বেশি।

 বাংলাদেশ ব্যাংক গত মাসে বানিজ্যিক ব্যাংক এর ক্যাশ রিজার্ভ ১% কমিয়ে ৫.৫% নিয়ে আসে। এতে বাজারে ১০ হাজার কোটি টাকার তারল্য আসলেও চাহিদা ৭৭ হাজার কোটি টাকা।

বিগত বছর গুলোতে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা  মূলক ঋণ দেয়ার প্রতিযোগিতা  সুদের হার কমানোর পিছনে অন্যতম কারন।


সর্বোপরি শেয়ার বাজারের নিম্নগতি, বাণিজ্যিক ব্যাংক এর তারল্য সংকট এর পিছনে বৈশ্বিক  অর্থনীতিক কোন প্রভাব না থাকলেয়, জাতীয় কিছু বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাব রয়েছে।

পাদ্মা সেতু, রুপপুর পাওয়ার প্রোজেক্ট ও অনান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কারনে  আমদানি ও ঋণ বাড়লেও দেশের সার্বিক অর্থনীতিক  কাঠামোর ধারাবাহিকতা ঠিক রয়েছে ।


বাংলাদেশ-এর অর্থনীতি
Bdeconomy.jpg
অবস্থান১৬৬
মুদ্রাবাংলাদেশী টাকা (BDT)
অর্থবছর১লা জুলাই - ৩০শে জুন
বাণিজ্যিক সংস্থাWTO, SAFTA, D8, WCO
পরিসংখ্যান
জিডিপি$২৮৫.৫৬ বিলিয়ন (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
জিডিপি প্রবৃদ্ধি৭.৬৫% (২০১৮ সালের প্রাক্কলন)
মাথাপিছু জিডিপি$ ১৭৫৪(২০১৮সালের প্রাক্কলন)
ক্ষেত্র অনুযায়ী জিডিপিকৃষি (১৪%), শিল্প (৩২.৭%), সেবা (৫৩.৭%) (২০০৭ সালের প্রাক্কলন)
মুদ্রাস্ফীতি৫.২% (২০১০-১১ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
দারিদ্র সীমারনিচে অবস্থিত জনসংখ্যা১২.৯ (২০১৬ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
শ্রমশক্তি
৮ কোটি ১৫ লক্ষ (২০১৭
সালের প্রাক্কলন)
পেশা অনুযায়ী শ্রমকৃষি (৬৫%), শিল্প (২৫%), সেবা (১০%) (২০০৫ সালের প্রাক্কলন)
বেকারত্বের হার২.৪% (২০০৮)
প্রধান শিল্পপাট উৎপাদন, সুতির টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, চা প্রক্রিয়াকরণ, নিউজপ্রিন্ট কাগজ, চিনি, হালকা প্রকৌশল, রাসায়নিক দ্রব্য, সিমেন্ট, সার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লোহা, ইস্পাত
বৈদেশিক বাণিজ্য
রপ্তানি$৩৭.১১ বিলিয়ন (২০১৭ সালের প্রাক্কলন)
রপ্তানি পণ্যগার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, হিমায়িত মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্য
প্রধান রপ্তানি অংশীদার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১০.৯%, যুক্তরাজ্য ৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%,
ইতালি ৪.৪২% (২০০০)
আমদানি$৩৮.৫ বিলিয়ন (২০১৭)
আমদানি পণ্যভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, তুলা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য
প্রধান আমদানি অংশীদারভারত ১০.৫%, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৯.৫%, জাপান ৯.৫%, সিঙ্গাপুর ৮.৫%,গণচীন ৭.৪% (২০০৪)
মোট বৈদেশিক ঋণ$২১.২৩ বিলিয়ন (৩১শে ডিসেম্বর, ২০০৭)
সরকারি অর্থসংস্থান
সরকারি ঋণ$১.২ বিলিয়ন (২০০৫ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
আয়$৩৫ বিলিয়ন (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
ব্যয়$৯ বিলিয়ন (২০০৭ সালের প্রাক্কলন)
অর্থনৈতিক সাহায্য$১.৫৭৫ বিলিয়ন (২০০০ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক
মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।




Comments

Popular posts from this blog

Depop, Vinted and other apps to share info with tax body

Scams impersonating financial regulator double