প্লাস্টিক দুষণ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ ঃ প্লাস্টিক কেনা বন্ধ করুন





প্লাস্টিক আমাদের প্রতিদিনে সবচেয়ে বেশি   ব্যাবহার    হয়ে থাকে । প্রত্যেক বৎসর প্রায় ৩৮০ মিলিওন টন প্লাস্টিক বিস্বব্যাপি   উৎপাদিত  হয়   । এক গষণা মতে ১৯০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পরজন্তশ্বে প্রায় ৬.৩ বিলিওন টন প্লাস্টিক প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহৃত হয় ।




প্লাস্টিক প্রস্তুত হয় বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন নিকেল, ইথাইল বেনজিন, ইথিলিন অক্সাইড ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারাই প্রস্তুত এই প্লাস্টিকের পণ্য।



পলিইথিলিন টেরেফটালেট (PET)
 প্লাস্টিক বোতলে থাকে। এর থেকে অ্যান্টিমনি নিঃসৃত হয়। যা পেটের অসুখ ও পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি করে। স্ত্রী হরমোনের পরিমাণ ও লক্ষণ বাড়ায়। পুরুষ হরমোন নিঃসরণ কমায়।

প্লাস্টিক এর ব্যবহারে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি ।

১. সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়।
২. হরমোনজনিত না না অস্বাভাবিকতা।
৩. স্তন ক্যান্সার, প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রাম্ত হতে পারেন আপনি এর ব্যবহারের ফলে।
৪. হাইপার অ্যাকটিভ থেকে শুরু করে অটিজমের মতো রোগও পিছু না ছাড়তে পারে এর ব্যবহারের ফলে।
৫. হৃদরোগের মতো সংক্রামণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেত প্লাস্টিকের ব্যবহার বর্জন খুবই গুরুত্বপূ



হাই ডেনসিটি পলিইথিলিন(HDPE)

দুধের বোতল, প্রসাধনী কনটেনর, পলিপ্যাকে থাকে। এতে স্ত্রী হরমোণের নিঃসরণ ও লক্ষণ বেড়ে যায়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শিশুশরীরে কোষের গঠন বদলে দেয়।
পলিভি নাইল ক্লোরাইড(PCV)
 মাংসের র‍্যাপার, বেডিংয়ের কভার, টেবল ক্লথে থাকে। এতে শিশুদের হাঁপানি হতে পারে। কমতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে।

পলিস্টাইরিন(PS)
 কাপ, প্লেট,বাটি, ট্রে-এসবে থাকে। এর থেকে স্টাইরিন যৌগ নিঃসৃত হয়। যার প্রভাবে রক্তের ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। লিভার, কিডনি ও পাকস্থলীর ক্ষতি হতে পারে।

প্লাস্টিক পুড়লে সালফার, নাইট্রোজেনজনিত বিভিন্ন গ্যাসের সঙ্গে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। প্লাস্টিক যে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়, তা প্রকাশ্যে পুড়লে ‘ডাইঅক্সিনক্স’ নামে একটি বিষাক্ত গ্যাসও তৈরি হয়। যা থেকে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে প্লাস্টিক পুড়ে যে সব বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়, তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে রক্ত দূষিত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।” 

পলিথিন এর  কারণে জমির ফসল উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। 
ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে তোলার পেছনে এর বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। ভূমিকল্প, বজ্রপাত, আট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন ইত্যাদির জন্যও এই পলিথিনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে

নদনদী ও জলাশায়ে পতিত হওয়ার ফলে সেগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীসহ  বিভাগিয়  শহরগুলোর জলাবদ্ধতার সে সংকট এর  পেছনেও রয়েছে এই পলিথিন ব্যাগ। প্লাস্টিক  পানি নিকাষ ক্ষমতা অকর্যকর করে দিচ্ছে।  


বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে  প্লাস্টিক  ৬৫০০ টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হতো, ২০১৪ সালে তা দাঁড়ায় ২৭,০০০ টনে।  হার চলতে থাকলে ২০২৫ সালে বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার দাঁড়াবে প্রতিদিন ৫০,০০০ টন।




২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়। কিন্তু এই আইন খাতায় রয়ে গেছে । প্লাস্টিক ব্যাগ এর  সল্প মুল্য এর প্রধান কারন । কিন্তু কিছুদিন আগে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোবারক আহমদ পাটের তৈরি  পলিব্যাগ উদ্ভাবন করেন ।  




বিবিসি বাংলা ও উইকিপিডিয়ায় প্লাস্টিক নিয়ে গুরত্বপুন প্রবন্ধ ঃ 






Comments

Popular posts from this blog

Depop, Vinted and other apps to share info with tax body

Scams impersonating financial regulator double