Posts

টিপাইমুখি বাধের ব্যাপারে ভারতের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে জানার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একজন বিশেষ দূত ভারতে পাঠানো হচ্ছে। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, বিষয়টিতে ভারতের পদক্ষেপের ব্যাপারে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা চেয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পে ভারতের পরবর্তী যে কোন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে পরামর্শের দাবি জানিয়েছে।   ভারতের প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে যেকোন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা বা পরামর্শ যেন করা হয়- এই বিষয়টিতেই বাংলাদেশ এখন জোর দিচ্ছে। মিজারুল কায়েস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব '' ভারতের প্রস্তাবিত টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে যেকোন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা বা পরামর্শ যেন করা হয়- এই বিষয়টিতেই বাংলাদেশ এখন জোর দিচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তা জানানোও হয়েছে।'' বলেন মিজারুল কায়েস। বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতে সম্প্রতি একটি...

জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকা সফরে

Image
মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে জাতিসংঘের `ওয়ান উইমেন ওয়ান চাইল্ড‘ কর্মসুচী বাংলাদেশে কেমন চলছে তা স্বচক্ষে দেখতেই মূলত মিঃ বানের এই সফর৻   জলাবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জোট, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম, ঢাকায় এখন যে সম্মেলন করছে, সোমবার মিঃ বান সেখানে ভাষণ দেবেন৻ এছাড়া, জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তি রক্ষী মিশনে যেসব বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে তিনি দেখা করবেন৻ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের একটি ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে৻ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মিঃ বানকে একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে৻ বিগত ২০০৮ সালের সাধারন নির্বাচনের আগে মিঃ বান সর্বশেষ ঢাকা সফরে এসেছিলেন।

গুজরাট দাঙ্গার মামালার বিচারে ৩১ জনের যাবজ্জীবন

Image
২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গার চিত্র (ফাইল চিত্র) ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের সর্দারপুরা গ্রামে দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে যখন ৩৩ জন একটি ছোট বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সে সময় রাতের অন্ধকারে বাড়িটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়৻ মারা যান ২০ জন মহিলাসহ আশ্রয়গ্রহণকারীদের সকলে৻গুজরাটের মেহেসানা জেলার সর্দারপুরা গ্রামে ওই হত্যাকান্ডে কুড়িজন মহিলা সহ মোট তেত্রিশ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। দাঙ্গার সময় গুজরাটে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি-র সরকার ছিল৻ মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গায় মদত দিয়েছেন বলে অভিযোগ, মিঃ মোদী কখনই সেই অভিযোগ যেমন স্বীকার করেন নি, দাঙ্গার জন্য ক্ষমাও চাননি । মামলায় গুজরাটের একটি আদালত অভিযুক্ত ৩১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিলেও অন্য বিয়াল্লিশ জনকে মুক্তি দিয়েছে ।   নয়বছর আগের গুজরাট দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশী মানুষ নিহত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম৻ ওই দাঙ্গার মামলাগুলিতে এই প্রথম সাজা ঘোষণা হল । ভারতে ধর্মীয় দাঙ্গায় এটাই সবথেকে বড় সাজার ঘটনা৻ “একটাই মামলায় ৩১ জনের যাবজ্জীবন সাজা হওয়াটাই একটা বড় ঘটনা৻” সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত চলেছে বলেই দোষীদের সাজা দেওয়া সম্ভব হয়েছ...

জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ঃ নারী পুরুষের ব্যাবধান কমেছে বাংলাদেশে

Image
ইউএনডিপি বলছে, নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমে আসার প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ১৮৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ নম্বরে । তবে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দেশটি বড়ো ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে . ঢাকায় ইউএনডিপির কর্মকর্তা এ কে এম মোর্শেদ বলছেন, এমন অবস্থাতেও এবারে বাংলাদেশের অর্জন হলো নারী-পুরুষের বৈষম্য কমিয়ে আনা। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাপকাঠি এ কে এম মোর্শেদ, ইউএনডিপি তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। ইউএনডিপি বলছে, নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাপকাঠি। মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে ইউএনডিপি প্রধানত তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়। এগুলো হচ্ছে: শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানুষের আয়। ইউএনডিপির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের চারভাগের একভাগ মানুষ এখনও চরম দরিদ্র। ইউএনডিপির কর্মকর্তা মি: মোরশেদ বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্রের অবস্থা নিয়ে সর্বশেষ পরিসংখ্যান ...

বাংলাদেশের আখাউড়া সীমান্ত পথে ভারতের ট্রানজিট শুরু ১৯ শে অক্টোবর ২০১১ থেকে

বাংলাদেশের আখাউড়া সীমান্ত পথে ভারতে নিয়মিত পণ্য পরিবহন ১৯শে অক্টোবর  থেকে শুরু হচ্ছে   বাংলাদেশী মালিকানাধীন ইন্দোবাংলা শিপিং লাইনস লিমিটডের জাহাজে করে কোলকাতা থেকে ৬২১ মেট্রিক টন রডের কাঁচামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর এসে পৌছায় গত মাসের শেষ দিকে । এরপর সেগুলো বাংলাদেশের ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয় আখাউড়া স্থল বন্দরে।   জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে ট্রানজিট প্রক্রিয়া৻ ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে এসব পণ্য পরিবহন করা হলেও কোনো ধরনের মাশুল নেয়া হচ্ছে না। কেন মাশুল নেযা হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে নৌ প্রটোকলের আওতায় এসব পন্য পরিবহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে সড়কপথও ব্যবহার হচ্ছে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই চুক্তি সংশোধন হলে মাশুল নেয়া হতে পারে। তবে নৌসচিব মো আবাদুল মান্নান হাওলাদার মনে করেন, মাশুল নেয়া না হলেও, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শিপিং এজেন্ট কিংবা শ্রমিকরা লাভবান হচ্ছে। সেই সাথে বাংলাদেশের ট্রাক ওগুলো পরিবহন করার কাজে নিয়োজিত থাকায় তারাও লাভবান হচ্ছে৻ এ...

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মায়ানমার

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত এক ব্রিফিং এ পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বা ইউএনএইচসিআর ও বার্মার সরকারের সাথে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ জোরালো করেছে।কর্মকর্তারা বলছেন, বার্মার নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে রাজী হয়েছে। তিনি জানান, সম্প্রতি দু‘দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও এ বিষয়টি আলোচিত হয়। মি. কায়েস বলছেন, প্রতিবেশী দুটো দেশের সম্মতির ভিত্তিতে সমঝোতা হলে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে। এবং বার্মা এ ব্যাপারে রাজী হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারের নয়াপাড়া এবং কুতু পালং শিবিরে ২৮,০০০ শরণার্থী রয়েছে বলে জানান মি. কায়েস। তিনি বলেন, বৈধ শরণার্থীদের বাইরেও অনেক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বার্মা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন যাদের মানবিক কারণে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। পররাষ্ট্র সচিব অবশ্য তাদের সঠিক সংখ্যা বলেননি। তিনি জানান, দুই দেশের অভিন্ন সীমান্তে মাদক পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের যৌথ টহলের বিষয়ে এক প্রস্তাব নিয়েও তারা আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্...

২০১১ সালের ইকোনোমিস্ট এর প্রতিবেদন ও বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের রুপ রেখা

Image
বাংলাদেশ সরকার ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এর এক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে৻ দ্য ইকোনমিস্ট-এর ৩০ জুলাই সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কিছু নেতিবাচক বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে৻ প্রতিবেদনে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিচক্ষণতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে৻ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার চিঠিতে এই সাময়িকীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার অভিযোগ আনলো৻ চিঠিতে বলা হয়েছে তাদের প্রতিবেদনটিতে ভুল তথ্য এবং তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা রয়েছে৻ আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করার সময় ‘‘ব্যাগ-ভর্তি ভারতীয় টাকা‘‘ আর উপদেশের সাহায্য পায় বলে যে কথা দ্য ইকোনমিস্ট বলেছে, বাংলাদেশ সরকার তাকে নির্ভেজাল মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে৻ বিশ্বজুড়ে দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনটি সোজা-সাপ্টা কথা বলার জন্য পরিচিত৻ বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সে জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা-বিষয়ক নীতি-নির্ধারকরা এই সাময়িকীতে প্রকাশিত তথ্য এবং বিশ্লেষণ বেশ গুরুত্বের সাথে নেন৻ সাময়িকীতে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব দুর্নীতির যে কথা বলা হয়েছে, তা খন্ডন করে বাংলা...