রাশিয়ায় সমুদ্রে ১৮.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু
২০১৪ সালে ইউক্রেন এর কাছ থেকে রাশিয়া ক্রিমিয়া নামের একটি দ্বিপ দখল করে নেয় । ক্রিমিয়ায় রাশিয়ান ভাষার মানুই বেশি থাকায় ইউক্রেন রাশিয়ান ভাষা ভাষীদের উপর জুলুম
করছে এই উসিলায় কৃষ্ণ সাগরের এই দ্বিপ নিজের কবজায় নেন পুতিন । রাশিয়া থেকে এর কোন সরাসরি যোগাযোগ নেই বলে পুতিন ক্রিমিয়াকে ব্রিজ দিয়ে সংযুক্ত করার আশ্বাস দেন ক্রিমিয়াবাসিকে । সেই আশ্বাস ২০১৮ সালের মে মাসে পুরন করলেন পুতিন ।
রাশিয়া হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ, আর এই রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বিগত মঙ্গলবার নিজে ট্রাক চালিয়ে ইউরোপের দীর্ঘতম ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সংযোগ সেতুটির উদ্বোধন করেছেন।
নির্মাণে ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। ক্রেমলিন বলছে, ২০১৮ সালের শেষ দিকে সেতুর ওপর দিয়ে রাস্তাটির কাজ শতভাগ শেষ হবে। যদিও আগামী বুধবার থেকেই যান চলাচলে জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। অন্যদিকে সেতুটির রেলপথের পুরো কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে।
সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণে ক্রাসনদার অঞ্চলের সঙ্গে ক্রিমিয়ার কেরচ নগরীর সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সেতুটির ফলে ক্রিমিয়ার সমুদ্র পথে পরিবহন নির্ভরতা অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি উদ্বোধনের ফলে পর্তুগালের ‘ভাস্কো দ্য গামা’ ব্রিজকে পিছনে ফেলে এটিই এখন ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু।
সেতুটিতে রেলপথও রয়েছে।
রাশিয়ার এই সেতু নির্মাণে অবশ্য তীব্র বিরোধীতা করে আসছে প্রতিবেশী ইউক্রেন। তারা বলছে, সেতুটির নির্মাণ কাজ সমুদ্রের প্রকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করেছে। পাশাপাশি সেতুটির কারণে বড় সাইজের জাহাজ 'আজভ সি' ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে নোঙর ফেলতে পারবে না।
Comments
Post a Comment